নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ দীর্ঘ সাত বছর পর মুক্ত পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবারের ঈদে তিনি রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতা ও নানা আইনি জটিলতার কারণে বিগত কয়েক বছর খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময় হাসপাতালে কিংবা নজরদারির মধ্যে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবার তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’-তেই স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদ পালন করবেন।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে কোনো ঈদই মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করতে পারেননি খালেদা জিয়া। তবে সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো তিনি রাজনৈতিকভাবে কিছুটা স্বস্তির মধ্যে ঈদ পালন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রোজার ঈদ তিনি লন্ডনে ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে উদযাপন করেছেন।
সম্প্রতি চিকিৎসা শেষ করে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া।তবে শর্মিলা রহমান ইতোমধ্যে তাদের দুই মেয়ে- জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের কাছে ফিরে গেছেন।অন্যদিকে,ডা. জুবাইদা রহমান আজ বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকালে ঢাকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তার স্বামী তারেক রহমান ও তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান অপেক্ষা করছেন।তারা এবারের ঈদ উদযাপন করবেন যুক্তরাজ্যে।ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা গুলশানের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে নেতারা ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।এ ছাড়া ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন দলের সিনিয়র নেতারা।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবার ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। ঢাকায় ঈদ পালন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।ঈদ উদযাপনের পর তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন বলে জানা গেছে।এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঢাকার শাহজাহানপুরে ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেরানীগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। অন্যদিকে ড. আবদুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জে ঈদ উদযাপন করবেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা এবার ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন নিজ নিজ এলাকায়।কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী ঈদ করবেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে,কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু থাকবেন নাটোরে।এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ঈদ করবেন জামালপুরের মেলান্দহে, আর নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ থাকবেন নিজ এলাকা বরিশালে।দলের সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, ফলে ঈদ সেখানেই উদযাপন করবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ঈদ পালন করবেন ঢাকায় নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বেশির ভাগ নেতাই নিজ নিজ আঞ্চলিক জনসম্পৃক্ততা রক্ষায় এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে এলাকায় যাচ্ছেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
