নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ফিলিস্তিন: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা ফের তীব্র হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক চাপ ও আগের যুদ্ধবিরতির শর্ত সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনিদের উপর নতুন করে চালানো এই হামলায় একদিনেই আরও ২৩ জন নিহত হয়েছেন। গত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সামরিক আগ্রাসনে মৃতের সংখ্যা এখন প্রায় ৫৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আহত হয়েছেন আরও লাখেরও বেশি মানুষ। মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও, সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যার পেছনে তারা হামাসের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতানৈক্যকে দায়ী করে। অথচ, গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে ইসরায়েল একবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল, যার ফলে গাজায় প্রায় দুই মাস শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় ছিল। কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন করে আগ্রাসন শুরু হয়। এতে গত এক মাসেই মারা গেছেন অন্তত ২৭০১ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৪৩২ জন। ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা কার্যত জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১২৪ জন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই দীর্ঘ সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২,৮১০ জন এবং আহত হয়েছেন ১,১৯,৪৭৩ জন মানুষ। অনেক মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে পৌঁছাতে পারছেন না। গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত, এবং প্রায় সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছে।এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একাধিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে মামলাও চলছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত
